এশার নামাজ ১৭ রাকাত কি কি | এশার নামাজের নিয়ম

এশার নামাজ ১৭ রাকাত কি কি | এশার নামাজের নিয়ম

আসসালামু আলাইকুম আপনি যদি এশার নামাজ 17 রাকাত কি কি এবং এশার নামাজের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই ইসলামিক পোস্ট কি শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।

ইসলামের স্তম্ভ গুলোর মধ্যে নামাজ অন্যতম একটি স্তম্ভ। এই নামাজ এর মাধ্যমেই মূলত একজন মুসলমান এবং একজন কাফেরকে আলাদা করা হয়। এ কারণে যদি আমরা নামাজ না পড়ি তাহলে কিন্তু সঠিকভাবে মুসলমান হতে পারব না।

আর এই নামাজগুলো সঠিকভাবে আদায় করার জন্য অবশ্যই প্রতিটি নামাজ কত রাকাত এবং এই নামাজগুলো কিভাবে পড়তে হয় সেটা বুঝে নিতে হবে । এই কারণে আজকের পোস্টে আমরা এশার নামাজ 17 রাকাত কি কি এবং এই এশার নামাজের নিয়ম আপনাদেরকে সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দেবো।

এশার নামাজ কয় রাকাত ও কি কি

এশার নামাজ কয় রাকাত ও কি কি এই বিষয়টি নিয়ে অনেক ওলামায়ে কেরাম গনের মধ্যে দ্বিধা দ্বন্দ্ব আছে। কারণ একটি নামাজ সরাসরি মোট কত টাকা এবং কি কি হবে সেটা একটি হাদিসের মধ্যে নেই।

অর্থাৎ বিভিন্ন হাদিস থেকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করে এটা হিসাব করা হয়েছে যে কোন ওয়াক্ত নামাজ কত রাকাত এবং সেখানে কি কি নামাজ রয়েছে।

একটি নামাজের মধ্যে ফরজ নামাজ যে কয় রাকাত রয়েছে মূলত নামাজটিকে সেই কয় রাকাত হিসেবে ধরা হয় । অর্থাৎ যেহেতু এশার নামাজের মধ্যে চার রাকাত ফরজ নামাজ রয়েছে এই কারণে আমরা বলতে পারি এশার নামাজ চার রাকাত।

পড়ুনঃ আসরের নামাজ কয় রাকাত, সময়, নিয়ম ও নিয়ত

কিন্তু এই ফরজ নামাজ গুলোর আগে এবং পরে বিভিন্ন নফল এবং সুন্নত নামাজ রয়েছে যেগুলোকে আমাদেরকে হিসাব করতে হবে এবং নামাজগুলো আদায়ও করতে হবে।

এশার নামাজ ১৭ রাকাত কি কি

বিভিন্ন হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী এশার নামাজের রাকাত হিসাব করলে এখানে এশার নামাজ 17 রাকাত ও পাওয়া যায়। তো এখন নিচে এই এশার নামাজ ১৭ রাকাত কি কি সেটা বলা হলো।

সুন্নত: এশার নামাজের প্রথমেই রয়েছে সুন্নত চার রাকাত। কিন্তু এই সুন্নত চার রাকাত টি অনেকেই পড়ে না কারণ এটি হয়তো গুরুত্বপূর্ণ নয় । তো আপনি চাইলে এই চার রাকাত সুন্নতটি বাদ দিয়েও নামাজ আদায় করতে পারেন। কিন্তু কোন ভাবেই নিজের ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ বাদ দেওয়া যাবে না।

ফরজ: চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার পর আপনাকে এখন এশার নামাজের মূল নামাজ এই ফরজ নামাজটি আদায় করতে হবে। অর্থাৎ এখানে রয়েছে মোট চার রাকাত ফরজ নামাজ। মনে রাখতে হবে ফরজ নামাজ কিন্তু কোনভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না।

সুন্নত: ফরজ নামাজ আদায় করার পর আবার আপনাদেরকে এখানে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করতে হবে। এই দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক। কারণ হাদিস এর বর্ণনা অনুযায়ী এই সুন্নত নামাজ কে নিয়ে কোন ওলামায়ে কেরাম গনের মধ্যে মতভেদ নাই আর এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত।

নফল: সুন্নত নামাজ আদায় করার পরে এখানে আরো দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হয়। এই নফল নামাজ এর বিষয়টি ও হাদীস শরীফ থেকেই পাওয়া গেছে। কিন্তু যেহেতু নফল নামাজ এই কারণে আপনারা চাইলে খুব সমস্যা হলে বাদ দিতে পারেন। কিন্তু কোন নামাজই বাদ দেওয়া ঠিক হবে না।

বেতের নামাজ: যদিও বেতের নামাজটি সরাসরি এশার নামাজ এর মধ্যে নেই কিন্তু এটি হিসাব করলে এশার নামাজ ১৭ রাকাত হয় । এই কারণে আমরা এখানে বেতের নামাজটি উল্লেখ করেছি।। অর্থাৎ দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করার পরে এখন এখানে তিন রাকাত একটি বেতের নামাজ আদায় করে নিতে হবে। বেতের নামাজ কোনভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না।

নফল; যদি আমরা বিভিন্ন হাদিস পড়ি তাহলে দেখতে পাব এশার নামাজের শেষের দিকে দুই রাকাত নফল নামাজের কথাও পাওয়া যায়। অর্থাৎ যদি আমরা বেতের নামাজ এর পরে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করি তাহলে আমাদের এশার নামাজটি সম্পূর্ণ পড়া হয়ে যাবে।

এখানে যদি আমরা মোট হিসাব করি তাহলে সুন্নত চার রাকাত + ফরজ চার রাকাত + সুন্নত ২ রাকাত + নফল দুই রাকাত + বেতের তিন রাকাত + নফল দুই রাকাত। মোট ১৭ নামাজ হয়ে যাবে।

এশার নামাজের নিয়ম

প্রতিটি নামাজ যেভাবে পড়া হয় এশার নামাজ ও কিন্তু ঠিক একইভাবে পড়া হয়। কিন্তু এখানে রাকাত এর মধ্যেই শুধুমাত্র ভিন্নতার লক্ষ্য করা যায় । তো এশার নামাজের নিয়ম নীচে সংক্ষেপে আপনাদেরকে বর্ণনা করে দেয়া হলো।

✓ প্রথমে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করার আগে একা একা চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করে নিতে হবে। এরপর যদি মসজিদে থাকেন তাহলে ফরজ নামাজ আদায় করা পর্যন্ত বসে থাকতে হবে।

পড়ূনঃ যোহরের নামাজ কয় রাকাত ও কি কি , সময় ও পড়ার নিয়ম

✓ তারপর সুন্দর ভাবে ইমামের সাথে জামাতের মাধ্যমে এশার চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করে নিবেন।

✓ এখন আপনাকে বাকি নামাজগুলো একা একা পড়তে হবে। চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করা হওয়ার পরে নিজে একা একা আবার দুই রাকাত সুন্নত নামাজ এবং তারপর দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করবেন।

✓ এরপর আবার একা একা বেতের নামাজ আদায় করে নিবেন। এখানে বেতের নামাজ এর রাকাত সংখ্যা এবং পড়ার নিয়ম এর মধ্যে বিভিন্ন আলেমগণের মাঝখানে মতভেদ রয়েছে। এই কারণে আপনি যে মাযহাবের রয়েছেন এবং যেভাবে এতদিন বেতের নামাজ আদায় করে এসেছিলেন সেভাবেই একা একা বেতের নামাজ পড়বেন।

✓ এরপর নিজে নিজে আবার দুই রাকাত নফল নামাজ সুন্দরভাবে আদায় করে তারপর এশার নামাজ সমাপ্ত করবেন।

কিন্তু এখানে রাকাত গুলো কিভাবে পড়বেন সেটা বলা হয়নি আমি নিচে সুন্দরভাবে এই রাকাত পড়ার নিয়ম ও বুঝিয়ে দিচ্ছি।

এশার চার রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ম

এসার চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার জন্য প্রথমে আপনাকে নিয়ত করে জায়নামাজের উপর দাঁড়াতে হবে।

এরপর আল্লাহু আকবার বলে হাত বাঁধবেন এবং সানা পড়ার পর সূরা ফাতিহা পড়বেন এবং সাথে অন্য একটি সূরা মিলাবেন।

অন্য আরেকটি সূরা পড়া হয়ে গেলে রুকুতে যাবেন এবং সেখানে রুকুর তসবিহ সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম পরবেন তিন থেকে পাঁচবার ।

তারপর রুকু থেকে উঠে সামিআল্লাহু লিমান হামিদা বলবেন এবং তারপর সাজদাতে যাবেন।

একটি সাজদাহ দেওয়ার পর উঠে বসে তসবি পাঠ করবেন কিংবা এক তসবিহ পরিমাণ সময় অতিবাহিত করবেন । তারপর আবার দ্বিতীয় সেজদা দিবেন ।

এভাবে দ্বিতীয় সেজদা দেওয়ার পর সরাসরি দাঁড়িয়ে হাত বেধে সূরা ফাতিহা পড়বেন এবং সাথে আরেকটি সূরা মিলাবেন। এরপর আগের নিয়ম মেনে রুকু করবেন এবং সেজদা করবেন ।

কিন্তু এবার সেজদা করা হয়ে গেলে আপনি একটি বৈঠক দিবেন এবং সেখানে আত্তাহিয়াতু পড়ে তারপর দাঁড়িয়ে যেতে হবে।

এবার দাঁড়ানোর পর শুধুমাত্র সূরা ফাতিহা পাঠ করে আবার রুকু সেজদা দিয়ে দাঁড়াতে হবে।

শেষবারের মতো দাড়ানো হয়ে গেলে আবার শুধুমাত্র সূরা ফাতিহা পাঠ করে একইভাবে সুন্দর করে একটি রুকু এবং দুইটি সেজদা শেষ করতে হবে।

এবার দুটি সেজদা শেষ করে বৈঠক দিয়ে আত্তাহিয়াতু তারপর দরুদ শরীফ এবং শেষে দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরিয়ে নামাজটি শেষ করতে হবে।

উপরের নিয়ম মেনে আপনারা এশার চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করতে পারবেন। ঠিক একই নিয়ম অনুসরণ করে আপনারা এশার নামাজের সুন্নত এবং নফল নামাজগুলোও সুন্দরভাবে পড়তে পারবেন।

এশার নামাজের সময় শুরু ও শেষ

প্রতিটি নামাজ এর ওয়াক্ত শুরু এবং শেষ সময় রয়েছে। অর্থাৎ একটি নামাজ এর ওয়াক্ত শুরু হওয়া থেকে শেষ হওয়ার মধ্যে পড়ে নিতে হবে। হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে যদি কেউ নিজের ইচ্ছাকৃতভাবে কোন নামাজ ত্যাগ করে তাহলে সে আর মুসলমান থাকে না।

এইজন্য আমাদেরকে অবশ্যই প্রতিটি নামাজের ওয়াক্তর সময় শুরু এবং শেষ সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। তো এশার নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয় যখন থেকে মাগরিবের নামাজের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়।

যখন চারিদিকে একদম অন্ধকার হয়ে যায় এবং সূর্য একদম ভালোভাবে অস্ত যায় তখনই এশার নামাজের সময়টি শুরু হয়ে যায়। আর এই এশার নামাজের সময় অনেকক্ষণ ধরে থাকে।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এর মধ্যে সব থেকে বেশি সময় হচ্ছে এই এশার নামাজের ওয়াক্ত। এখানে আপনারা সূর্য একদম ভালোভাবে অস্ত যাওয়ার পর অন্ধকার হওয়া থেকে শুরু করে সুবহে সাদিক পর্যন্ত এশার নামাজ আদায় করতে পারবেন।

কিন্তু এখানে এত সময় ধরে এশার নামাজ পড়া যাবে না। রাতের দুই তৃতীয়াংশ সময়ে এর মধ্যে এশার নামাজ শেষ করা উত্তম । অর্থাৎ আপনি যদি মধ্যরাত হওয়ার আগেই এশার নামাজটি ভালোভাবে আদায় করে নিতে পারেন তাহলে সেটাই আপনার জন্য উত্তম হবে।

এশার আজানের সময়

যেহেতু বছর এর মধ্যে ছয়টি ঋতু আছে এবং এই ছয় ঋতুর কারণে দিন এবং রাতের পরিধি অনেকটা কম বেশি হতে থাকে। আর এই রাতের সাথে সরাসরি যেহেতু এশার নামাজের সময় সম্পৃক্ত এই কারণে এশার নামাজ এর আজানের সময় ও প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হতে থাকে।

এখানে এশার আযানের সময় বলতে বোঝানো হয়েছে এশার নামাজ এর ওয়াক্ত যখন শুরু হয় তখন থেকেই । অর্থাৎ এশার নামাজের সময় যখন শুরু হবে আপনি তখন থেকেই এশার নামাজের আজান দিতে পারবেন ।

কিন্তু আমাদের দেশের মসজিদগুলোতে একটু রাত বেশি হওয়ার পরে এশার আজান দেওয়া হয় অর্থাৎ মাগরিবের নামাজ শেষ হওয়ার এক থেকে দেড় ঘন্টা পর এশার নামাজের আজান দিয়ে থাকে তারা।

এশার নামাজের পর আমল

অন্য নামাযের পর যে রকম আমল করেন এশার নামাজের পরও ঠিক এরকমই আমল করা যাবে। তবে ঘুমানোর আগে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে যেগুলো করলে অবশ্যই বেশি বেশি সওয়াব অর্জন করা সম্ভব।

যেমন এশার নামাজ আদায় করার পর যদি আপনারা সূরা কাহাফ পড়েন এবং সূরা অকেয়াহ পড়েন তাহলে এখানে আলাদা করে বিভিন্ন ফজিলত রয়েছে। সূরা ওয়াকিয়া পড়লে সংসার থেকে অভাব অনটন দূর করে দেয় আল্লাহ তাআলা।

পড়ুনঃ মাগরিবের নামাজ কয় রাকাত ও কি কি | মাগরিবের নামাজের সময় ও নিয়ম

এছাড়াও প্রতি ফরজ নামাজ পর আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত করলেও অনেক ফজিলত পাওয়া যায়।

এশার নামাজের নিয়ম মহিলাদের

হাদিস থেকে এটা পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় যে মহিলাদের নামাজ পড়ার আলাদা কোন নিয়ম নেই। অর্থাৎ আমরা হানাফী মাযহাবের মধ্যে মহিলাদের নামাজ পড়ার সিস্টেম এর মধ্যে যে কিছুটা ভিন্নতা লক্ষ্য করি, এটা কিন্তু কোন হাদিসে সরাসরি বর্ণনা আসেনি।

এছাড়াও কোন একটি ওয়াক্ত নামাজ পুরুষরা যেভাবে পড়বে এবং যে কয় রাকাত আদায় করবে নারীদের কেউ কিন্তু একই ভাবে নামাজটি পড়তে হবে। অর্থাৎ এশার নামাজের আলাদা কোন মহিলাদের জন্য নিয়ম নেই। পুরুষরা যেভাবে এশার নামাজ আদায় করে ঠিক একইভাবে আপনারা মহিলারাও নামাজ আদায় করবেন।

নামাজ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর

বিভিন্ন নামাজের ক্ষেত্রে মুসলমানদের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন ঘুরে বেড়ায়। নিচে এই এশার নামাজ সম্পর্কিত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং উত্তর তুলে ধরা হলো।

এশার নামাজ মোট কত রাকাত?

এশার নামাজ মোট 17 রাকাত। কিন্তু এখানে মূল নামাজ হচ্ছে চার রাকাত ফরজ এবং দুই রাকাত সুন্নত । অর্থাৎ ৬ রাকাত।

এশার নামাজ ৯ রাকাত কি কি?

এশার নামাজ ৯ রাকাত হল: চার রাকাত ফরজ দুই রাকাত সুন্নত এবং তিন রাকাত বেতের ।

এশার নামাজ কয়টায়?

এশার নামাজ এর সময় প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। তবে মাগরিবের নামাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে যখন একদম রাত নেমে আসে বা চার দিকে অন্ধকার হয় তখন এশার নামাজ শুরু হয়।

এশার নামাজ ১৫ রাকাত কি কি?

এশার নামাজ ১৫ রাকাত হলো: চার রাকাত সুন্নত তারপর চার রাকাত ফরজ এবং তারপর দুই রাকাত সুন্নত। সবার শেষে তিন রাকাত বেতের এবং দুই রাকাত নফল।

এশার নামাজের ওয়াক্ত কতক্ষণ থাকে?

এশার নামাজের ওয়াক্ত সবথেকে বেশি সময় থাকে। মাগরিবের নামাজের পরে থেকে শুরু করে সুবহে সাদিকের আগে পর্যন্ত এশার নামাজের সময় থাকে। কিন্তু অর্ধেক রাত শেষ হওয়ার আগেই এশার নামাজ আদায় করে নেওয়া সব থেকে ভালো উত্তম।

এশার নামাজ কয় রাকাত সুন্নত কয় রাকাত ফরজ?

এশার নামাজের মধ্যে মোট ছয় রাকাত সুন্নত রয়েছে এবং চার রাকাত ফরজ নামাজ রয়েছে। সুন্নতগুলোর মধ্যে ফরজ নামাজ এর আগে চার রাকাত এবং পরে দুই রাকাত।

এশার কাজা নামাজ কয় রাকাত

যেকোনো ওয়াক্তের কাজা নামাজ শুধুমাত্র সেই ওয়াক্তের ফরজ নামাজ টুকু পড়তে হয়। একইভাবে যেহেতু এশার ফরজ নামাজ চার রাকাত, এই কারণে এর কাজ নামাজ ও শুধু মাত্র চার রাকাত।

পরিশেষে

আজকের পোস্টটি পড়ার পর আশাকরি পাঠকদের মনে এশার নামাজ সম্পর্কে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না। এখানে আমরা সহজ ভাষায় আপনাদেরকে এশার নামাজ 17 রাকাত কি কি এবং এশার নামাজ পড়ার নিয়মগুলো সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে।

এ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার পর ও যদি আপনি ভালোভাবে বুঝতে না পারেন এবং এই নামাজটি সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।

পরিশেষে একটা কথাই বলবো কখনো নামাজ ত্যাগ করবেন না। আল্লাহতালা বলেছেন অসুস্থ থাকা অবস্থায় ও তার ইবাদত করতে হবে। তাহলেই কেবল আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপর খুশি থাকবেন।

2 Comments

  1. Khaled

    রুকুর তাসবিহ “সুবহানা রাব্বি আর আজীম”, “সুবহানা রাব্বি আল আ’লা নয়” আপনি AI দিয়ে হয়তো কন্টেন্ট লিখছেন তাই এই ভুলটি হয়েছে।

    • ভুলটী ধরিয়ে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা এটী সমাধান করে দিয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *