পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা রচনা (২০ পয়েন্ট এবং ১৫ পয়েন্ট)

পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা রচনা (২০ পয়েন্ট এবং ১৫ পয়েন্ট)

0
(0)

আসসালামু আলাইকুম, অনেক সময় স্কুলের বিভিন্ন পরীক্ষায় পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা রচনা লিখতে বলা হয়। এই কারণে আজকের পোস্টে আপনাদেরকে এই পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা রচনাটি লিখে দেওয়া হবে।

স্কুলের পরীক্ষায় হোক কিংবা পাবলিক পরীক্ষায়। প্রতিটা পরীক্ষায় বর্তমানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর রচনা লিখতে বলা হয়। তো পাঠাগার যেহেতু অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস আমাদের জন্য এই কারণে এই পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তার রচনা ও লিখতে বলতে পারে ।

এ কারণে আজকের এই পোস্ট এর মধ্যে আপনাদেরকে আমরা সুন্দরভাবে পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা রচনাটি লিখে দেবো। এই রচনাটি আপনারা পরীক্ষার খাতায় সুন্দরভাবে নিজের মতো করে উপস্থাপন করবেন।

পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা রচনা

রচনা লেখার সময় যদি আমরা বিভিন্ন পয়েন্ট তুলে ধরি এবং সেই পয়েন্ট এর ওপর আলোচনা করি তাহলে সেটা শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অনেকটা সাহায্য করে।

এ কারণে নিচে সুন্দরভাবে পয়েন্টগুলো প্রথমে লেখা হলো এবং তারপর সেই পয়েন্টের ওপর আলোচনাটি শুরু করা হলো।

ভূমিকা

শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। যদি কোন একটি দেশে পড়াশোনার ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সেখানে শিক্ষা কোথায় থেকে আসবে। আর এই পড়াশুনার সবথেকে উত্তম জায়গা হচ্ছে একটি পাঠাগার।

এই কারণে প্রতিটি দেশে এবং প্রতিটি জায়গায় অসংখ্য পাঠাগার রাখা দরকার। কথায় আছে যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত বেশি উন্নত।

এই কারণে প্রতিটা স্থানে দরকার বড় বড় পাঠাগার তৈরি করা। আর এই পাঠাগার গুলোতে নিয়মিত মানুষ যাতায়াত করলে অনেক জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হবে ।

পাঠাগারের সংজ্ঞা

পাঠাগার এমন একটি জায়গা যেখানে একটি জাতির মেরুদন্ড গড়ে তোলা সম্ভব। যে একটি আবদ্ধ জায়গার মধ্যে নানান ধরনের পত্রিকা , বিভিন্ন ধরনের বই, বিভিন্ন ধরনের লেখা , নোট , থিসিস অডিও কিংবা ভিডিও কনটেন্ট সহ জ্ঞান অর্জন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সামগ্রী সংরক্ষণ করে রাখা হয় সেটাকেই মূলত পাঠাগার বলা হয়।

একটি পাঠাগারে অসংখ্য বই থাকতে পারে। এই বইগুলো গল্পের বই হতে পারে কিংবা কোন একটি বিষয়ের উপর লেখা বর্ণনামূলক বইও হতে পারে। পাঠাগারে শুধুমাত্র এগুলো সংরক্ষণ করে রাখা হয় না এখানে যে যার মত ইচ্ছা এসে বইগুলোকে অধ্যায়ন করতে পারে।

পাঠাগারের ইতিহাস

যেহেতু একটি পাঠাগার এ এসে মানুষজন অধ্যয়ন করে এবং তাদের জ্ঞান বিকশিত করে এই কারণে পাঠাগারের ইতিহাস ও অনেক পুরনো।

পড়াশোনা করা কিংবা জ্ঞান চর্চার বিষয়টি প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। আর প্রাচীনকালে মানুষ এই ধরনের বিভিন্ন আইডিয়া খুঁজে বেরাত যাতে তারা খুব সহজেই অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পারে।

প্রাচীন যুগে মানুষ যত বেশি শিক্ষিত ছিল বর্তমান যুগে মানুষ তত বেশি শিক্ষিত নেই। এর প্রধান কারণ হচ্ছে মানুষ বর্তমানে পাঠাগারের মূল্যায়ন করতে জানে না।

আরোও পড়ুনঃ মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ রচনা ১২০০ শব্দের

প্রাচীনকাল থেকে জ্ঞান অর্জন করার ক্ষুধা মানুষকে অনেক বেশি ক্লান্ত করেছিল। আর তখনকার যুগ থেকেই মানুষ পাঠাগার নির্মাণের জন্য অভ্যস্ত ছিল । প্রাচীন যুগে মানুষ এমন কিছু জায়গা নির্ধারণ করে রেখেছিল যেখানে গিয়ে মানুষ বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে পারতো।

আর সেখান থেকেই এই পাঠাগার নির্মাণের আইডিটি মানুষের মাথায় চলে আসে। গ্রীস ,রম, ভারত ,প্রাচীন মিশর এবং চীন সহ আরো অনেক দেশে প্রাচীনকাল থেকেই এই ধরনের পাঠাগারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

পাঠাগারের প্রকারভেদ

পাঠাগার বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। আর এই গ্রন্থাগার বা পাঠাগারটি কোন ধরনের হবে সেটা নির্ভর করবে এই পাঠাগার এর উদ্দেশ্য টা কি তার ওপর। একটি পাঠাগারের উদ্দেশ্য বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্যের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাঠাগারের প্রকারভেদ হতে পারে যেমন:

সাধারণ পাঠাগার: সাধারণ পাঠাগার এ সাধারণত বিভিন্ন ধরনের নরমাল বই পুস্তক রাখা হয়। আর এই পাঠাগার গুলো এলাকার এমন জায়গায় রাখা হয় যেখানে মানুষ যে কেউ চাইলে যেতে পারে।

অর্থাৎ যে ধরনের পাঠাগার গুলোতে যেকোনো মানুষ চাইলে যেতে পারে বা জনসাধারণের জন্য যে সকল পাঠাগার একদম উন্মুক্ত থাকে সেগুলোকে সাধারণ পাঠাগার বলা হয়।

জাতীয় পাঠাগার: দেশের যে জিনিসটি সর্বোচ্চ পর্যায় বেশি সম্মানিত তাকে সাধারণত জাতীয় উপাধি দেওয়া হয়। যেমন বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জাতীয় পাখি রয়েছে বা বিভিন্ন জাতীয় জায়গা রয়েছে।

এছাড়াও একটি দেশে জাতীয়তার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন বিষয়বস্তু কে সেখানে জাতীয় উপাধি দেওয়া হতে পারে। ঠিক এরকম একটি দেশের জাতীয় পাঠাগার ও থাকতে পারে।

এক কথায় বলতে গেলে একটি দেশের মধ্যে যে পাঠাগারটির সম্মান সর্বাধিক পর্যায়ে রয়েছে বা সর্বোচ্চ স্তরের পাঠাগারটিকে জাতীয় পাঠাগার বলা হয়।

সাধারণত এই জাতীয় পাঠাগার গুলো সেই দেশের রাজধানী কিংবা বড় বড় শহর অঞ্চলে হয়ে থাকে। আর এই পাঠাগার গুলোর আকার অনেক বড় হয়। এখানে অসংখ্য বই এবং অসংখ্য তথ্য উপাত্ত থাকে যেখানে অনেক মানুষ গিয়ে জ্ঞান অর্জন করে।

বিশেষায়িত পাঠাগার: একটি পাঠাগারে সব ধরনের বই থাকার পাশাপাশি এমন কিছু পাঠাগার থাকে যেখানে শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর জ্ঞান অর্জন করা বা নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর বই পুস্তক রাখা হয়।

যেমন কোন একটি পাঠাগারের মধ্যে যদি শুধুমাত্র আইন বিষয়ক বই রাখা হয় বা আইন বিষয়ক জ্ঞান চর্চা করা হয় তাহলে সেটাকে একটি আইন বিষয়ের ওপর বিশেষায়িত পাঠাগার বলা হতে পারে।

এছাড়াও আরো খেলা বিষয়ক, ইতিহাস বিষয়ক, সাহিত্য বিষয়ক কিংবা চিকিৎসা বিজ্ঞান বিষয়ক আলাদা আলাদা বিশেষায়িত পাঠাগার হতে পারে ।

বিদ্যালয় পাঠাগার: বেশিরভাগ বিদ্যালয় এ একটি পাঠাগার বা গ্রন্থাগার থাকে। আর এই গ্রন্থাগার গুলোতে সাধারণত সেই বিদ্যালয়ের বইগুলো রাখার পাশাপাশি অন্যান্য বইও রাখা হতে পারে।

যে সকল বিদ্যালয়এ এই ধরনের পাঠাগার নেই সেগুলোতে দ্রুত একটি পাঠাগার নির্মাণ করা উচিত। বিদ্যালয়ের মধ্যে যদি কোন একটি পাঠাগার থাকে এবং সেখানে শুধুমাত্র সেই বিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীরা জ্ঞান চর্চা করতে পারে তাহলে সেটাকে বিদ্যালয় পাঠাগার বলা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কলেজ এর পাঠাগার: সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সমস্ত পাঠাগার থাকে সেগুলো অনেক বড় হয়ে থাকে। এখানে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাসের পড়াগুলো কমপ্লিট করার পাশাপাশি চাকুরীর প্রস্তুতি নিতে পারে।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠাগারগুলোতে চাকরির প্রস্তুতি বিষয়ক অসংখ্য বই এবং অসংখ্য বিষয়বস্তু থাকে। এছাড়াও সেখানে আরো অনেক বিষয়ে নানান ধরনের বই পুস্তক রাখা হতে পারে।

পাঠাগারের গুরুত্ব

একটি পাঠাগারের গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। বিশেষ করে একটি জাতির উন্নতি সাধনের জন্য পাঠাগার নির্মাণের কোন বিকল্প নেই। যে দেশে যত পাঠাগার বেশি হবে সে দেশ তত বেশি উন্নত হবে এটা স্বাভাবিক।

অনেক মনীষীগণ বলেন যে , যে দেশের মধ্যে পাঠাগার সব থেকে বেশি কম সে দেশ বা সেই জাতি সবথেকে বেশি অনুন্নত এবং পিছিয়ে পড়ে। এই কারণে পাঠাগার এর গুরুত্ব অপরিসীম।

মানুষের মৌলিক চাহিদা গুলো হল: খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা ও চিকিৎসা । এখানে মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যেই শিক্ষাকে নিমজ্জিত করা হয়েছে। অর্থাৎ কোন একটি জাতিকে বেঁচে থাকতে হলে তাকে শিক্ষা গ্রহণ করা আবশ্যক।

আর যদি সেখানে পাঠাগার না থাকে তাহলে এই শিক্ষা গ্রহণ করার স্থানটি ও আর থাকবে না। পৃথিবীতে যে সকল মানুষ বড় বড় কাজ সম্পাদন করে গেছেন তারা সব থেকে বেশি পড়াশোনায় নিমজ্জিত ছিলেন। পড়াশুনার মাধ্যমেই মানুষ তার জীবনের উন্নতি সাধন করতে পারে এবং দেশ ও জাতির অগ্রযাত্রায় সব থেকে বেশি ভূমিকা পালন করতে পারে।

পড়ূনঃ পাঠাগার স্থাপনের জন্য আবেদন (বিদ্যালয়ে এবং এলাকায়)

একটি পাঠাগার আমাদের গবেষণা , আমাদের বিনোদন, দৃষ্টিভঙ্গি বিকাশ , সামাজিক ও সংস্কৃতির উন্নয়ন সাধন সহ তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ের ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

পাঠাগার থাকলে সেখানে সবাই একে অপরের দেখা দেখি পড়াশুনা করতে যেতে পারে। এখানে যদি প্রযুক্তির ব্যাপারে জ্ঞান অর্জন করার সুযোগ থাকে তাহলে সেটা আরও বেশি ভালো হবে।

একটি পাঠাগার এর মধ্যে মানুষকে বিনোদন দেওয়ার প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও থাকতে পারে যাতে করে মানুষ সেখানে গিয়ে বিনোদন গ্রহণ করতে পারে এবং জ্ঞান অর্জন করতে পারে।

এই পাঠাগারে গিয়ে যদি মানুষ নিয়মিত জ্ঞান চর্চা করতে পারে তাহলে সেই দেশের অনেক বড় উন্নতি হবে এবং সেই দেশের মধ্যে অশান্তি ও কমে যাবে। জ্ঞান কখনো কমে যায় না।

একটি মানুষ যদি নিয়মিত জ্ঞান চর্চা করে তাহলে তার জ্ঞান আরো বহু গুণে বাড়তে থাকবে। এখানে প্রতিটা মানুষ তাদের নিজেদের কে নিজের মতো করে গড়ে তুলতে পারবে। বিদ্যালয়ের পাঠাগার গুলোতে শিক্ষার্থীরা গিয়ে জ্ঞান চর্চা করার ফলে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে সক্ষম হবে।

এছাড়াও যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পাঠাগার রয়েছে সেখানে গিয়ে যদি শিক্ষার্থীরা নিয়মিত পড়াশোনা করতে পারে তাহলে দেশের বেকারের সংখ্যা অনেক কমে যাবে। আর যে দেশে বেকারের সংখ্যা যত বেশি কম হবে সে দেশ তত বেশি উপরে উঠতে থাকবে।

পাঠাগারের মধ্যে যদি কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করা যেতে পারে তাহলে সেই পাঠাগার আরো অনেক বেশি মানুষের কাজে আসবে। এছাড়াও একটি পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব অনেক বেশি যেটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয় ।

পাঠাগারের সুবিধা

মানুষ একা একা বাড়িতে বসে থাকলে সে ঠিকমত পড়াশোনা করতে পারে না। যদি আশেপাশে পাঠাগার থাকে তাহলে সেখানে গিয়ে মানুষ খুব সহজে নিজেদের মত করে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে ।

একা একা কোন কাজ করতে ভালো লাগেনা। যেহেতু একতাই বলে এই কারণে পাঠাগারে গিয়ে যদি সকলে মিলে একসাথে জ্ঞান চর্চা করা যায় তাহলে এখানে প্রতিটা মানুষ উপকৃত হতে থাকবে ।

এছাড়াও একটি পাঠাগারের মধ্যে গেলে মানুষের পারস্পরিক যে বন্ধন রয়েছে এই বন্ধুত্বের বন্ধন টা অনেক বেশি মজবুত হয়ে যাবে। যাদের বিভিন্ন ধরনের বই কেনার সামর্থ্য থাকে না তারা চাইলে একটি পাঠাগারে গিয়ে ফ্রিতে সেখানকার বইগুলো পড়ার মাধ্যমে বই পড়ার জ্ঞান কে অর্জন করতে সক্ষম হবে।

এছাড়াও যারা বিভিন্ন বড় বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ লেখকদের বই সম্পর্কে জানে না তারাও পাঠাগারে যাওয়ার মাধ্যমে সেই বইগুলো সম্পর্কে অবগত হতে পারবে ।

পাঠাগার থেকে বিভিন্ন ধরনের সেবা পাওয়া যেতে পারে। একটি পাঠাগার থাকলে সেখানে এলাকার বড় বড় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো সবাই একসাথে নেওয়া যেতে পারে।

পাঠাগারের বিকাশ

যেহেতু পাঠাগারের অনেক বেশি প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব রয়েছে তাই প্রতিটি জায়গায় এই পাঠাগারের বিকাশ ঘটানো প্রয়োজন। পাঠাগারের বিকাশ ঘটানোর জন্য আমাদেরকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে যেগুলো হল:

সংখ্যা বৃদ্ধি: আমরা যদি এই পাঠাগারের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারি এবং অসংখ্য পাঠাগার স্থাপন করতে পারি তাহলে পাঠাগার বিকাশের জন্য অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে।

যেখানে মানুষজন বেশি যাতায়াত করে সেই জায়গাগুলোতে আমাদের পাঠাগার নির্মাণ করতে হবে । যাতে মানুষ সেখানে গিয়ে তাদের জ্ঞান চর্চা করার কাজটিকে অভ্যতা রাখতে পারে।

পাঠাগারের সুবিধা: একটি পাঠাগারের মধ্যে অনেক ধরনের সুবিধা বা অসুবিধা থাকতে পারে। আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে পাঠাগারের মধ্যে সুযোগ সুবিধা গুলোকে সর্বাধিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার।

এছাড়াও একটি পাঠাগারে এসে মানুষ কি ধরনের অসুবিধা ভোগ করতেছে সেগুলো ভালোভাবে পর্যালোচনা করে সমস্যা গুলো সমাধান করতে হবে। আর মানুষ কি চায় বা কি ধরনের সুবিধা পেলে তাদের উন্নতি হবে সেই বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।

যথেষ্ট কন্টেন্ট: একটি পাঠাগার কত উন্নত হবে বা মানুষ এখানে কেমন আসবে সেটা নির্ভর করবে এই পাঠাগারের মধ্যে কি কি রাখা হয়েছে। আমরা যদি পাঠাগার গুলোর মধ্যে অসংখ্য বই ,নোট ,অডিও ভিডিও উপকরণ, মানচিত্র, পত্রিকা , ডিগ্রী প্রপার্টি সহ যাবতীয় বিষয়গুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখতে পারি তাহলে পাঠাগারটি অনেক বেশি উন্নত হবে।

এছাড়াও যারা পাঠাগারে নিয়মিত আসে তারা কোন কোন ধরনের বিষয়গুলো পাঠাগারের মধ্যে চাচ্ছে বা কি ধরনের বই পড়তে চাচ্ছে, সেগুলো শুনে সেই ধরনের বই পাঠাগারে রাখতে হবে।

মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা: একটি পাঠাগার নির্মাণের উদ্দেশ্য তখনই সফল হবে যখন এখানে অসংখ্য মানুষ এসে পড়াশোনা করা শুরু করবে। আর এখানে মানুষগুলোকে নিয়ে আসতে হলে অবশ্যই তাদেরকে একটি পাঠাগারের সমস্ত ভালো দিকগুলো বুঝিয়ে দিতে হবে।

এছাড়া একটি পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু বা একটি পাঠাগার থাকলে কেমন হবে সে সম্পর্কে মানুষকে অবগত করতে হবে। তাহলে এখানে অনেক মানুষ আসবে এবং পাঠাগারের বিকাশ ঘটবে।

উপসংহার

দেশের জন্য জাতির জন্য পাঠাগার কতটা প্রয়োজনীয়তা সেটা হয়তো আমরা বুঝতে পেরেছি। আমাদেরকে অবশ্যই এই পাঠাগার নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে এবং মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে যেন তারা নিয়মিত পাঠাগারে আসে।

যদি দেশের সরকারের উপর মহল থেকে পাঠাগার নির্মাণের ব্যাপারে যোথেস্ট সাহায্য আসে তাহলে আমরা এই গ্রন্থাগার গুলোর সঠিক মূল্যায়ন করতে পারব।

পরিশেষে এটাই বলা যায় যে, জাতির এবং দেশের উন্নতি করতে হলে পাঠাগার নির্মাণের বিকল্প নেই ।

পোষ্টের শেষ কথা

আজকের পোস্টে আপনাদের সাথে পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা রচনা টি শেয়ার করেছি। এখানে চেষ্টা করা হয়েছে সহজ এবং সাবলীল ভাষায় আজকের রচনাটি লিখে দেওয়ার।

এই রচনার মধ্যে আপনারা আপনাদের মত করে বিভিন্ন পয়েন্ট যোগ করে কিংবা বিভিন্ন পয়েন্ট বাদ দিয়ে লিখতে পারেন। আর এই ধরনের রচনা লেখার সময় চেষ্টা করবেন মূল পয়েন্টগুলো ঠিকভাবে উল্লেখ করার জন্য।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

We are sorry that this post was not useful for you!

Let us improve this post!

Tell us how we can improve this post?

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *