বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ রচনা (২০ পয়েন্ট সহ)

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ রচনা (২০ পয়েন্ট সহ)

আসসালামু আলাইকুম আজকের এই মূল্যবান পোষ্টের মাধ্যমে পাঠকদের কে আমরা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ রচনা টি দেখিয়ে দেব । এই কারণে যদি আপনারা রচনাটি পড়তে চান এবং জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত পোস্টটি পড়ুন।

আমাদের দেশে বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষাগুলোতে রচনা লিখতে বলা হয়। আর শিক্ষার্থীদের কাছে এই রচনা লেখাটা সবথেকে বেশি সহজ হয়ে যায়। কারণ রচনা লিখতে গেলে মুখস্ত বিদ্যার কম দরকার হয় নিজে নিজে বানিয়ে রচনা লেখা যায়।

তবে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নগুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি মার্ক দেওয়া হয় এ রচনাতে। যার কারণে রচনাটি যদি আমার ভালোভাবে লিখতে না পারি তাহলে কিন্তু এখান থেকে অনেক মার্কেট কাটা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ রচনা

এখানে পুরো রচনাটি যে আপনাকে মুখস্ত করতে হবে এমন কোন কথা নয় । আপনি শুধুমাত্র পুরো রচনাটি একবার দুইবার পড়বেন এবং সেখান থেকে মূল বিষয়গুলোকে মনে রাখবেন।

আর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এখানকার রচনাগুলোর পয়েন্ট ভালোভাবে মনে রাখতে হবে। তাহলে এই পয়েন্টগুলোর আলোকে পরীক্ষার খাতায় লেখা অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে। নিচে রচনাটি সুন্দরভাবে আপনাদের জন্য উল্লেখ করে দেওয়া হলো।

ভূমিকা

বাংলাদেশ এমন একটি দেশ এখানে প্রতিবছর নানান ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা যায়। এটি মূলত একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ হিসেবেই বেশি পরিচিত। এ সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাংলাদেশের মানুষের এবং বিভিন্ন জিনিসের অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়।

দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলাকালীন মানুষ অনাহারে ভোগে এবং অনেক মানুষ প্রাণহানিও হয়ে যায় । আরেকটি বিষয় হচ্ছে এই দুর্যোগ গুলোর কারণে মানুষ অর্থনৈতিক অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ

কোন একটি দেশে কেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংগঠিত হবে এটা নির্ভর করে সেই দেশের ভৌগোলিক অবস্থানের উপর । অর্থাৎ এই দেশটি কোন জায়গায় অবস্থিত এবং দেশের আশেপাশে কেমন নদী বা কেমন পাহাড় রয়েছে সেগুলোর উপর।

বাংলাদেশের ওপরেও এত প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে আসার প্রধান কারণ হচ্ছে এই দেশটির ভৌগোলিক অবস্থান । আমাদের এই বাংলাদেশ হচ্ছে উপকূলীয় একটি দেশ।

বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলে রয়েছে বিশাল বড় হিমালয় পর্বতমালার স্থান। এছাড়াও এই দেশটির পূর্ব দিকে ভারত এবং মায়ানমারের পাহাড়ি অঞ্চলগুলো রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণ।

এছাড়াও দেশটির দক্ষিণ দিকে অবস্থান করছে বঙ্গোপসাগর বা বে অফ বেঙ্গল। দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগর থাকার ফলে এখান থেকে অনেক বড় বড় ঝড় সৃষ্টি হয়ে আমাদের দেশে আঘাত হানে।

এছাড়াও দেশটিতে অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয় যার ফলে বিভিন্ন জায়গায় বন্যার কারণে অনেক বেশি ক্ষতি হয়ে যায়। যেহেতু ভারত অনেক বড় একটি দেশ এবং ভারতের উপকূলীয় অঞ্চলগুলো বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত এই কারণে সেখান থেকেও অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগের সৃষ্টি হয়।

তবে স্বস্তির বিষয় হচ্ছে আমাদের দেশের সুন্দরবন থাকার কারণে অনেক ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে দেশটিকে রক্ষা করা সম্ভব হয়।

বাংলাদেশে সংঘটিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের কয়েকটি প্রকার

অনেক আগে থেকে এই বাংলাদেশে অনেক ধরনের অসংখ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংগঠিত হয়ে আসছে। এরমধ্যে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ হল:

ভূমিকম্প: যদিও এই ভূমিকম্প প্রাকৃতিক দুর্যোগটি বাংলাদেশের খুব বেশি ক্ষতি করে নেই। কিন্তু এর পরেও এই দেশে ছোটখাটো বিভিন্ন ধরনের ভূমিকম্প সংগঠিত হয়ে যায় মাঝে মাঝেই।

কিন্তু এর পরেও এই দেশটি ভূমিকম্পের কবলে যেকোনো সময় পড়ে যেতে পারে তার একটি সংকেত অনেক সময় পাওয়া যায়। একবার ভালোভাবে ভূমিকম্প হয়ে গেলে এর ফলে অনেক বড় বড় ভবন, ব্রিজ এবং রাস্তাঘাটের বিশাল বড় ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন মানুষ ও এতে প্রাণ হারিয়ে ফেলে।

বন্যা: বাংলাদেশ টি মূলত নদীমাতৃক একটি দেশ হিসেবেও পরিচিত। এর প্রধান কারণ হচ্ছে দেশটিতে অনেক বৃষ্টিপাত হয় এবং যার ফলে অনেক নদী ও তৈরি হয়ে যায়।

আর এই প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাতের ফলে এই দেশে প্রতিবছর বন্যা মহামারি আকার ধারণ করে। প্রতিবছর বন্যার কারণে বাংলাদেশের অনেক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারিয়ে ফেলে । বিশেষ করে চর এলাকার মানুষগুলো এই বন্যা পরিস্থিতির কারণে অনেক ভয়াবহ অবস্থার সম্মুখীন হয় ।

এছাড়াও এই বন্যার কারণে বাংলাদেশের অসংখ্য রাস্তাঘাটের ক্ষতি হয়ে যায় এবং মানুষের ফসল ও চিরতরে নষ্ট হয়ে যায় । এমনকি বড় বড় বন্যার সময় মানুষের প্রাণহানি হওয়া সহ অসংখ্য পশুপাখিও এতে প্রাণ হারিয়ে ফেলে।

বিশেষ করে এই দেশের সিলেট এবং চিটাগং এর মানুষ এই বন্যা পরিস্থিতে বেশি পড়া যায় । বন্যার কারণে দেশটি সরকার ও অনেক ভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়: বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলে যে সমস্ত মানুষ বসবাস করে তারা মূলত এই ঘূর্ণিঝড়ের কবলে প্রতি বছরই পড়ে। এই ঘূর্ণিঝড় মূলত সাইক্লোন নামেও পরিচিত।

ভারত মহাসাগর থেকে মূলত এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়ে তারপর সেই দেশ থেকে বাংলাদেশে আঘাত হানে। এছাড়াও আমাদের বঙ্গোপসাগর এর ওপরেও সমুদ্রের স্তর অনেকটা বেড়ে গিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়।

আরোও পড়ুনঃ মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ রচনা ১২০০ শব্দের

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার পরে সেটি বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে। এই ঘূর্ণিঝড়ের সময় প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয় এবং অনেক জোরে জোরে বাতাস বইতে থাকে।

বাংলাদেশের যে সমস্ত এলাকায় এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে সেগুলোর প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হয়ে যায় এবং তাদের অনেক কিছু নষ্টও হয়ে যায়।

খরা: বাংলাদেশ টি নদীমাতৃক দেশ হওয়ার ফলে এখানে বৃষ্টিপাত হওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে খরা ও দেখা যায় । বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার থেকে এই খরা হওয়াতে মানুষ একটু বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

দেশের মধ্যে যখন গ্রীষ্মকাল চলে তখন এই খরার প্রবণতা প্রকট আকার ধারণ করে। যখন খরা হয় তখন ১৫ থেকে ২০ দিন বা এক মাসের ও বেশি কোন ধরনের বৃষ্টিপাত দেখা যায় না। বৃষ্টিপাত না হওয়ার পাশাপাশি তখন সূর্যের রোদের তাপমাত্রা ও সর্বোচ্চ স্তরে থাকে।

যার কারণে এই রোদ গুলোর ফলে পানি শূন্যতার জন্য কৃষকদের অনেক ফসলের ক্ষতি হয়ে যায় এবং ফসলগুলো নষ্ট হয়ে যায়। মাটির নিচের পানির স্তর ও অনেক নেমে যায় যে কারণে পানির অভাবে পশুপাখিরও মৃত্যু ঘটে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতিকার ও মোকাবিলা

প্রাকৃতিক দুর্যোগ হওয়ার ক্ষেত্রে যেহেতু সরাসরি এখানে মানুষের কোন হাত থাকে না এই কারণে এটি মানুষের পক্ষে পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। যে সমস্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংগঠিত হয় এই সবগুলোই সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে।

এটি পুরোপুরি বন্ধ না করতে পারলেও আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ এর মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা বা প্রতিকার গড়ে তুলতে পারি। কিভাবে একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবেলা করতে হবে এটা নির্ভর করবে আপনি এখন কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ছেন।

নিরাপদ আশ্রয়: যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে আসলে অবশ্যই নিজেকে নিরাপদ আশ্রয় স্থানে নিয়ে যেতে হবে। নিরাপদ আশ্রয় স্থান হতে পারে কোন উচু জায়গা কিংবা অন্য কোন স্থান।

যদি আপনি এখন বন্যা পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার গবাদি পশু সহ ঘরের গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।

এছাড়াও বন্যা কবলে পড়ে গেলে অবশ্যই ঘরে জোথেস্ট পরিমাণ শুকনো খাবার মজুদ রাখতে হবে। বন্যা হোক কিংবা ঝড় অবশ্যই নিজেকে সর্বোচ্চ নিরাপদে রাখতে হবে এবং নিরাপদ স্থানে যেতে হবে।

খাদ্য মজুদ: প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসার পরে অবশ্যই বাহির থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য ঘরের মধ্যে মজুদ করে রাখতে হবে। যদি বন্যা পরিস্থিতি হয় তাহলে শুকনো খাবার গুলো বেশি বেশি সংরক্ষণ করতে হবে।

আর যদি খরা পরিস্থিতি হয় তাহলে অবশ্যই বড় ট্যাংক ভরিয়ে নিজের কাছে পানি জমা রাখতে হবে। এছাড়াও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ অনুযায়ী নিজের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে খাবার রাখতে হবে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতিরোধ

দুর্যোগ আসার আগে যে কাজগুলো করা হয় সেগুলোকেই মূলত প্রতিরোধ বলা হয়। একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মোকাবেলা করতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে দুর্যোগ আসার আগেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখা।

যদি আমরা এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ গুলোর কবলে পড়ার আগে ঠিকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারি তাহলে অনেক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যাব।

পূর্বাভাস: বাংলাদেশের সরকার বর্তমানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ গুলা আসার আগেই জনসাধারণকে জানিয়ে দিয়ে সচেতন করছে। যে স্থানে যে ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসে সেই দুর্যোগ গুলোর ভালোভাবে পূর্বাভাস গুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

পূর্বাভাস পাওয়ার সাথে সাথে দুর্যোগের মোকাবেলা করার জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে হয়।

উচু স্থান নির্মাণ: দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় বসবাসকারীদেরকে অবশ্যই আগে থেকেই উঁচু স্থান নির্মাণ করে রাখতে হবে । যাতে করে বন্যা কিংবা ঝড় জলোচ্ছ্বাসের সময় সেই উঁচু স্থানে সবাই অবস্থান নিতে পারে।

এছাড়া বাড়িঘর নির্মাণ করার সময় অবশ্যই ভালোভাবে বেশি করে মাটি কেটে উঁচু করে বাড়িঘর গুলো নির্মাণ করতে হবে।

মজবুত কাঠামো: ঘরবাড়ি কিংবা অন্য কোন কাঠামো তৈরি করতে হলে অবশ্যই দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে বেশ ভালোভাবে মজবুত করে এগুলোকে তৈরি করতে হবে।

ঘরবাড়ি যখন বানানো হবে তখন এগুলোকে খুব শক্ত কাঠ কিংবা লোহা দিয়ে বেশি করে মাটির নিচে গর্ত করে বসিয়ে দিয়ে সেগুলোকে নির্মাণ করতে হবে। তাছাড়া গবাদি পশুর বাসস্থান নির্মাণ করার সময় ও আমাদেরকে এই বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।

প্রশিক্ষণ গ্রহণ: প্রতিটি এলাকার মানুষদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। অর্থাৎ যে এলাকায় যে ধরনের দুর্যোগ বেশি পরিমাণে আসে সেই এলাকার মানুষদেরকে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

মানুষদেরকে যত বেশি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তারা তত বেশি দুর্যোগের মোকাবেলা ভালোভাবে করতে পারে। সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে এই মানুষগুলোই দুর্যোগের সময় ক্ষতিগুলোর হাত থেকে ভূমিকা রক্ষা করতে পারবে এবং অনেকটা অর্থনৈতিক ক্ষতি থেকেও নিজেকে বাঁচাতে পারবে।

সচেতনতা: যে কোন বিপদ থেকে আমাদেরকে এই সচেতনতাই বাঁচাতে পারে। যদি আমরা ঠিকভাবে সচেতন থাকতে পারি তাহলে এই বিষয়গুলো আমাদের খুব বেশি ক্ষতি করতে পারবেনা।

প্রতিটা এলাকায় গিয়ে মানুষদেরকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে অবগত করা উচিত এবং দুর্যোগ এসে গেলে কিভাবে এর মোকাবেলা করতে হবে সেই সম্পর্কে সচেতন করা উচিত।

এছাড়াও একটি দুর্যোগ আসার আগে কি ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে সে সম্পর্কে যদি আমরা মানুষকে আগে থেকে সচেতন করতে পারি তাহলে আমরা দুর্যোগের হাত থেকে এই দেশকে অনেকটাই রক্ষা করতে পারবো।

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের উদাহরণ

প্রতি দফায় দফায় এই দেশে অসংখ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে এসেছিল এবং দেশের অনেক কিছু ক্ষতি হয়ে গেছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ গুলোর কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ভূমি ধস সহ গাছপালা নষ্ট হয়ে গেছে।

২০২২ সালে সিলেটের বন্যার কারণে এই সিলেটবাসীদের অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে। এটি ছিল একটি ভয়াবহ বন্যা এবং সিলেটিদের জন্য একটি কালো অধ্যায়।

সেই অঞ্চলের প্রতিটি ঘর পানির তলে ডুবে গিয়েছিল এবং মানুষজন খাওয়ার মত খাবারটুকুও পাচ্ছিল না। তবে আমাদের দেশের অনেক বড় বড় ইনফ্লুয়েন্সার গন মানুষদের থেকে টাকা কালেকশন করে তাদেরকে খাবার পৌঁছে দিয়েছে।

এছাড়া প্রতিবছর কক্সবাজার এর আশেপাশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অনেক কিছু ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। অনেক মানুষ তাদের ভিটা মাটি হারিয়ে ফেলছে। অনেকে আবার ঘরবাড়ি হারিয়ে ফেলছে এবং কেউ আবার তাদের প্রিয়জনদেরকেও হারিয়ে ফেলছে।

উপসংহার

এদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ গুলো মোকাবেলা করার জন্য দেশটির প্রতিটা নাগরিককে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। যদি দেশের নাগরিক ঠিকভাবে সচেতন হতে পারে তাহলে দুর্যোগ থেকে আশা ক্ষতিগুলো খুব তাড়াতাড়ি রিকভারি করা যাবে।

দুর্যোগ থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্য দেশের সরকার ও অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপ গুলো বাস্তবায়ন করতে অবশ্যই জনসাধারণের সাহায্য করতে হবে। যদি আমরা সবাই একত্র হয়ে দুর্যোগ গুলোকে মোকাবেলা করার লক্ষ্যে কাজ করে যাই তাহলে ইনশাল্লাহ এ দেশকে বাঁচানো সম্ভব হবে।

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ রচনা ২০ পয়েন্ট

অনেকে আছে যারা অনলাইনে এই বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ রচনা ২০ পয়েন্ট লিখে সার্চ করে। তাদের জন্য আমি বলব আমরা উপরেই এই পয়েন্ট গুলো আপনাদেরকে আলোচনা করে দিয়েছি।

রচনাটি লেখার সময় নিজে থেকে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো বানানোর চেষ্টা করবেন এবং সেই পয়েন্টের ওপরে আলোচনা করে পরীক্ষার খাতায় লিখবেন।

পরীক্ষার খাতায় অবশ্যই বেশি আজেবাজে না লিখে রচনার মূল বিষয়বস্তুকে ফুটিয়ে তুলতে হবে। তবে যেহেতু রচনা লিখনে একটু বেশি নাম্বার দেওয়া হয়। এই কারণে চেষ্টা করতে হবে গুরুত্বপূর্ণ টপিক গুলো একটু বিস্তারিত আলোচনা করে বেশি করে লেখার।

পোষ্টের শেষ কথা

আজকের এই পোস্টে আমরা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ রচনাটি শিক্ষার্থীদের জন্য সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে দিয়েছি একদম সহজ ও সাবলীল ভাষায়।

তোমরা সবাই এই রচনা টি ভালোভাবে পড়ে যাবে যাতে পরীক্ষায় সুন্দরভাবে লিখতে পারো। একবারে মুখস্ত করতে হবে এমন কোন কথা নয়। শুধু রচনাটি কয়েকবার পড়ে এখান থেকে মূল বিষয়গুলো সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা নিয়ে সেগুলোর উপর নিজে থেকে বানিয়ে বানিয়ে সৃজনশীল ভাবে রচনাটি লিখলে বেশি ভালো মার্ক পাওয়া যাবে।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *