অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ রচনা
অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ রচনা

অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ রচনা ২০ পয়েন্ট (SSC & HSC)

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে তোমাদের সাথে অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ রচনাটি শেয়ার করা হবে । এখানে রচনাটির 20 পয়েন্ট বা ২০ প্যারা সহ আরো ১৫ এবং ৩০ প্যারা ও শেয়ার করা হবে।

অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ রচনা

তোমরা সবাই অবগত আছো যে বর্তমানে বাংলাদেশ অনেক দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের পথে। আমাদের দেশ এ এখন অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে যা আগে পাওয়া যেত না।

এছাড়াও এই দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে ডিজিটাল দেশে রূপান্তর করার কথা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার । এরই ধারাবাহিকতায় আমরা দেখতেই পাচ্ছি যে আমাদের দেশের কত বেশি উন্নয়ন হচ্ছে।

প্রতিনিয়ত এ দেশের নতুন নতুন উন্নয়ন হওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব দরবারে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবেও নাম লেখিয়েছে।

যেহেতু অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এই কারণে রচনাটি প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তোমরা এই পোস্ট পড়লে আমাদের দেশের উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে পারবে সাথে রচনাটিও ভালোভাবে বোঝা হয়ে যাবে।

অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ রচনা ২০ পয়েন্ট

নিচে পয়েন্ট আকারে এই দেশের প্রতিটি উন্নয়নের কথা তুলে ধরা হলো। এখানে পয়েন্টগুলো তোমরা তোমাদের নিজের মতো করেও সাজিয়ে লিখতে পারবে।

ভূমিকা

বর্তমানে যে গতিতে এই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে এটি একটি অকল্পনীয় বিষয় । এই হারে আমাদের দেশের উন্নয়ন হতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই এটি উচ্চ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর অনেক সংগ্রাম করে আমাদের এই সোনার বাংলা গড়তে হয়েছে। কিছু বছর আগেও বাংলাদেশে অনেক বেশি অভাব অনটন ছিল। কিন্তু বর্তমানে এই চিত্রের বিপরীত।

যেভাবে ডিজিটাল প্রযুক্তি বাণিজ্য এবং আমদানি ও রপ্তানি খেতে উন্নয়ন হচ্ছে এভাবে চললে এই দেশের প্রতিটি মানুষ অনেক বেশি আপগ্রেড হয়ে যাবে।

এগুলো সম্ভব হচ্ছে শুধুমাত্র কঠোর পরিচালনা এবং ব্যবস্থাপনার কারণে। দেশে বিগত বছরে বড় বড় বেশ কিছু প্রজেক্ট সফল হওয়ার কারণে এই দেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। কিভাবে চলতে থাকলে আমাদের এই অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ কে কেউই দমিয়ে রাখতে পারবেনা।

শিক্ষাগত উন্নয়ন

বলা হয়ে থাকে একটি জাতির মেরুদন্ডই হচ্ছে শিক্ষা। যে দেশ যত বেশি শিক্ষিত হবে সেই দেশ তত বেশি উন্নয়ন তো হবে। আর এই কথাটা মাথায় রেখেই আমাদের দেশের সরকার এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন।

শিক্ষাব্যবস্থায় এক অনন্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে বিগত কয়েক বছরে। দেশের প্রতিটি ছেলেমেয়ে যেন শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে এই কারণে প্রতিটা গ্রামে একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করে দিয়েছে এদেশের সরকার ব্যবস্থা।

এছাড়াও তাদেরকে ফ্রিতে পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়ার পাশাপাশি সরকার থেকে প্রতিটি ছেলে মেয়ের জন্য উপবৃত্তির ব্যবস্থা দেওয়া হয়ে থাকে।

আর্থিকভাবে প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে সাহায্য করার পাশাপাশি বিনামূল্যে বই বিতরণসহ আরো যাবতীয় সুবিধা তাদেরকে প্রদান করা হয়। বর্তমানে আমাদের দেশে প্রথম শ্রেণী হতে দশম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিটি পাঠ্যবই সরকার থেকে বিনামূল্যে প্রদান করা হয়ে থাকে।

এই শিক্ষাব্যবস্থাকে এত সহজ করে দেওয়ার জন্যই আমাদের দেশে এখন শিক্ষিতর হার অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে। বিগত বছরগুলোতে আমাদের দেশে নারী শিক্ষার হার একদমই কম ছিল যা বর্তমানে ছেলেদের থেকেও নারীদের বেশি শিক্ষিতর হার হয়েছে।

যদিও বর্তমানে 96% শিক্ষার হার রয়েছে। কিন্তু এই অদম্য অগ্রযাত্রার গতিতে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যেতে থাকলে আগামী কিছুদিনের মধ্যেই ১০০ শতাংশ শিক্ষার হার নিশ্চিত করা যাবে বলে আমরা আশাবাদী।

অবকাঠামো গত উন্নয়ন

একটি দেশকে তখনই উন্নয়নশীল দেশ বলা যাবে যখন এই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে। আর অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে হলে দেশটির অবকাঠামো গত উন্নয়নের বিকল্প নেই।

গত ২০২২ – ২০২৩ সালে আমাদের এই দেশে এমন কিছু অবকাঠামো কত উন্নয়ন হয়েছে যা গত ১০০ বছরেও হয়নি । বাংলাদেশ সরকার যে সমস্ত বড় বড় প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিল তার প্রতিটি বর্তমানে আমাদের চোখের সামনে।

পদ্মা সেতু

বহুল প্রতীক্ষিত আমাদের পদ্মা সেতু রয়েছে এর মধ্যে অনেক বড় একটি প্রকল্প।

এছাড়াও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ আরো অনেক বড় বড় অবকাঠামগত উন্নয়ন হয়েছে আমাদের এই ছোট দেশটিতে। আমাদের দেশে আগে ব্রীজের সংখ্যা অনেক কম ছিল যা বর্তমানে অনেক বেশি হারে বেড়ে গেছে।

এছাড়াও আমাদের দেশে যেখানে আগে বিশ্বরোড গুলো ছিল দুই লেনের সেখানে বর্তমানে বিশ্বরোড গুলোতে নতুনভাবে কাজ চলছে যেগুলো ছয় লেনের রোড বানানো হবে। এই ছয় লেন এর বিশ্ব রোড গুলোর কাজ পরিপূর্ণভাবে শেষ হলে দেশটির অবকাঠামোগত উন্নয়ন আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

এগুলো ছাড়াও আমাদের দেশ থেকে প্রথম বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইট পাঠানো হয়েছে মহাকাশে। বিগত বছরগুলোতে যেখানে বাংলাদেশের প্রতিটা ঘরে বিদ্যুৎ ছিল না সেখানে বর্তমান সরকার গ্রামেগঞ্জে প্রতিটা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা করে দিয়েছে।

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

আগের বড় বড় অবকাঠামো গত উন্নয়নের সময় বহির্বিশ্বের সাহায্য লাগতো কিংবা বিভিন্ন ধরনের লোন গ্রহণ করতে হতো। কিন্তু পদ্মা সেতু নির্মাণ করার সময় এত বড় একটি প্রকল্পে বাহিরের কোন সাহায্য ছাড়াই নিজ অর্থায়নে এটি সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন

প্রতিটা সেক্টরের যেভাবে উন্নতি হয়েছে ঠিক একই ভাবে দেশটির অর্থনৈতিকভাবেও অনেক দূর এগিয়ে গেছে। কোন দেশের অর্থনীতি যত বেশি উন্নয়নশীল হবে সেই দেশটি তত বেশি উন্নয়ন হবে এটাই স্বাভাবিক।

বাংলাদেশের জিডিপি ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে যা অনেক ভালো একটি অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নের লক্ষণ । ২০০৫ থেকে ২০০৬ অর্থবছরে এই দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৪ শতাংশ এবং সেই অর্থবছরে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল গরে ৫৪৩ মার্কিন ডলার যা তখনকার ডলারের মূল্য অনুযায়ী ৪৫ হাজার টাকার আশেপাশে ছিল।

কিন্তু বর্তমান অর্থবছরে এই দেশের জিডিপি কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে যা বর্তমানে ১০% এর ও বেশি উন্নয়নশীল।

জিডিপি বৃদ্ধির হার বাড়াসহ দেশের প্রতিটি মানুষের গর মাথাপিছু আয় ও অনেক গুণে বেড়ে গিয়েছে।

কমেছে পরনির্ভরতা অর্থাৎ অন্য কারো থেকে সাহায্য নিয়ে কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার যে প্রচলন ছিল সেটি অনেক হারে কমে গিয়েছে। এমনকি আগের থেকে বর্তমানে বাজেট এবং প্রকল্প গুলো অনেক বড় বড় এবং খুবই উন্নতমানের।

প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বড় বড় বাজেট পাস করা হচ্ছে বিগত অর্থবছর গুলো থেকেই।

দেশে দারিদ্রতার হার কমা সহ বেড়েছে মানুষের মাথাপিছু আয় ও। এই অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নশীল হওয়ার ফলে বেড়েছে মানুষের গড় আয়ু এবং মানুষ এখন কিছু বছর বেশি বেঁচে থাকার সুযোগ পাচ্ছে।

চিকিৎসা খাতে উন্নয়ন

অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করতেই হবে। কারণ বর্তমানে দেশের চিকিৎসা খাতে অনেক বেশি উন্নয়ন হয়েছে বিগত বছরগুলোর তুলনায়।

কিছু বছর আগেও মানুষের অনেক ধরনের অপারেশন করতে হলে বাহিরে উন্নত বিশ্বে যেতে হতো। কিন্তু বর্তমানে দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানে উন্নতির ফলে অনেক বড় এবং কঠিন অপারেশন গুলো দেশেই সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে।

তাছাড়া আগে যে সকল অপারেশন করার পর ডাক্তাররা নিশ্চিত হতে পারত না যে অপারেশনটি সম্পন্ন হবে কিনা সেসব কঠিন অপারেশনগুলো এখন নিমিষেই সম্পন্ন করা হচ্ছে।

আগের তুলনায় বর্তমানে অপারেশন সাকসেসফুল হওয়ার পরিমাণ ও অনেক শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। অনেক ধরনের মেশিন বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়েছে যেগুলো বাংলাদেশের চিকিৎসার মান কে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।

এখন বাংলাদেশের প্রতিটা জেলা এবং থানায় রয়েছে সরকারি সদর হাসপাতাল যেখানে বিনামূল্যে রোগীরা চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছে। মাত্র ১০ টাকা দিয়ে টিকিট ক্রয় করার মাধ্যমে রোগীরা তাদের রোগের চিকিৎসা যথার্থভাবে নিতে পারছে।

এই অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশকে আরো অনেক দূর নিয়ে যাওয়ার জন্য অবশ্যই দেশবাসীকে সাথে থাকতে হবে এবং দেশের উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে।

প্রযুক্তিগত উন্নতি

দেশটিতে যেভাবে প্রযুক্তিগত উন্নতি দেখা যাচ্ছে এই উন্নয়নের কারণে অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ আরো গতি পেয়েছে। প্রযুক্তিগত দিক থেকে দেশের প্রতিটি সেক্টরে প্রচুর কাজ করা হয়েছে।

গতবছরেরগুলোতে গুটি কয়েক মোবাইল ব্যবহারকারী থাকলেও বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় 12 কোটির বেশি মোবাইল ব্যবহার করে রয়েছে । আর প্রতিটি মোবাইল ব্যবহারকারীকে ইন্টারনেটের আওতায় আনার জন্য দেশের প্রতিটা আনাচে-কানাচে ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ এর টেলি যোগাযোগ কোম্পানি বিটিআরসির পক্ষ থেকে অসংখ্য টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে যাতে করে গ্রাম অঞ্চলগুলোতেও পরিপূর্ণভাবে ইন্টারনেট প্রদান করা সম্ভব হয়।

আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে বর্তমানে ৪ কোটির অধিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। প্রতিটি দেশের উন্নয়ন গতিশীল হবে তখনই যখন দেশটিতে পরিপূর্ণভাবে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা হবে।

এই ইন্টারনেট সেবা প্রদান করার লক্ষ্যে দেশের মোবাইল অপারেটর গুলোও কাজ করে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটা আনাচে-কানাচে এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে যাতে করে প্রতিটা মানুষ প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করতে পারে।

প্রযুক্তিগত দিক থেকে বাংলাদেশের অনেক বড় একটি উন্নয়ন হচ্ছে বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইট স্থাপন। স্যাটেলাইট টি মহাকাশে উৎক্ষেপণ করার মাধ্যমে এই দেশের টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা অন্য এক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটা অঞ্চলে রয়েছে ফোরজি ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা। আর এই ফোরজি প্রযুক্তি থেকে আরো অনেক উন্নত প্রযুক্তি 5g এর কাজ ও বর্তমান চলমান রয়েছে।

দেশের জনপ্রিয় অপারেটর গ্রামীণফোন এই ৫জি ইন্টারনেট ব্যবস্থার বেশ কিছু এক্সপেরিমেন্ট ও করেছে । দেশে প্রতিটা অঞ্চলে 5g পৌছে গেলে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন অনেক বেশি করে দেখা যাবে।

আর দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে আমাদের দেশের যুবকরা ফ্রিল্যান্সিং করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের মাধ্যমে এ দেশকে অর্থনৈতিক ভাবে আরো সচ্ছল করে তুলছে।

বহির্বিশ্বের সাথে বাণিজ্য

একটি দেশের উন্নয়ন অনেকটা নির্ভর করে সেই দেশের আমদানি ও রপ্তানি ব্যবস্থার ওপর। বিগত বছরগুলো থেকে আমাদের দেশ রপ্তানিতে অনেক বেশি এগিয়ে গেছে। এখন অনেক ধরনের পণ্য বাইরের দেশে রপ্তানি করা হয়ে থাকে আমাদের এই বাংলাদেশ থেকেই।

এছাড়াও বাইরের বড় বড় দেশগুলোর সাথে বাণিজ্যিক চুক্তির কারণে এই দেশের অর্থনৈতিকভাবে যেমন উন্নয়ন হচ্ছে তেমনি দেশের আরো অনেক খাতে উন্নয়ন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

এখন প্রায় প্রতিবছরে চার থেকে পাঁচ হাজার কোটি মার্কিন ডলার আয় করা হয় শুধুমাত্র এই রপ্তানি থেকে। আর প্রতি বছরই এই সংখ্যাটিকে ব্রেক করে নতুন আরো একটি বড় সংখ্যা আমদানিকৃত অর্থের মধ্যে আমরা দেখতে পাচ্ছি।

এই আমদানিকৃত অর্থের সংখ্যা দিন দিন বাড়ার ফলে এই দেশ উন্নত হচ্ছে এবং বহির্বিশ্বের কাছে পরিচিত লাভ করছে। আশা করা হচ্ছে আগামী বেশ কিছু বছর এর মধ্যেই আমরা পণ্য আমদানি করে একটি উন্নত শীল দেশে রূপান্তরিত হতে পারব।

উপসংহার

অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এই বিষয়টি ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকলে একসময় উন্নত বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ একটি পরিচিত নাম হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে হচ্ছে।

তবে শুধুমাত্র দেশের সরকার চেষ্টা করলে এটি সম্ভব নয়। আমরা যারা সাধারণ জনগণ আছি তাদেরকেও সমান তালে এই অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বাত্মক সাহায্য করতে হবে।

এই ছোট্ট অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ রচনা তে বাংলাদেশের সমস্ত ভালো দিক এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলো তুলে ধরা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা চোখের সামনে যা দেখতে পাচ্ছি এতে করে মনে হচ্ছে কিছু বছরের মধ্যেই এই দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে পরিণত হবে।

অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ রচনা for hsc এবং অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ রচনা for ssc

এসএসসি এবং hsc পরীক্ষায় এই রচনাটি আসলে এটি সুন্দরভাবে লিখে দিতে পারবেন। আজকের পোস্টে যেভাবে রচনাটি উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে এভাবেই হুবহু লিখে দেওয়া যাবে।

এখানে আরো পয়েন্ট যুক্ত করা যাবে। আপনাদের ইচ্ছামত পয়েন্ট গুলো যুক্ত করে দেবেন। চাইলে ২০ পয়েন্ট এবং 15 পয়েন্ট এর ও অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ রচনাটি লিখে দিতে পারবেন পরীক্ষার মধ্যে।

তবে হ্যাঁ পরীক্ষার মধ্যে রচনা লেখার সময় অবশ্যই আজেবাজে কোন কিছু লিখে রচনা নিজের ইচ্ছা করে বড় করা যাবেনা । স্বাভাবিকভাবে, বেশি ছোট নয় কিংবা বেশি বড় নয় এমনভাবে রচনাটি ভালো কথা ব্যবহার করে লিখতে হবে।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *